একটা বয়সে কম বেশি সবাই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এটি এমনি একটি সমস্যা যার গোরা থেকে সমাধান না করলে বারবার ভূগতে হয়। বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ব্রণ সহজে কমতে চাই না। এমন পরিস্থিতে ধয্য ধরে এর সমাধান করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
তৈলাক্ত ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার কাজটি কঠিন হলেও এটা অসম্ভব নয়। কিছু ঘরোয়া টিপস ফলো করলে কিছু দিনের মধ্যে তৈলাক্ত ত্বক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দুয়েই দূর হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়।
লেবুর রস ও পেঁয়াজের রস
লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পেঁয়াজের রসে রয়েছে এন্টিসেপ্টিক, যা তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। প্রথমে ১ টি পেঁয়াজ বেটে রস বেরে করে নিন। এরপর পেঁয়াজের রসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগানোর পরে শুকিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা তোয়ালে ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দুয়েই দূর হয়ে যাবে।
বেসন ও টকদই
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য এই ফেসপ্যাকটি অত্যন্ত কার্যকারী। ১ টেবিল চামচ টকদই এবং ২ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে আসলে এতে ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া এবং ২ ফোঁটা মধু যোগ করে নিন। ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হাতের সাহায্যে হালকা গরম পানি দিয়ে ফেসপ্যাক মুখ থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
মধু ও লেবুর রস
মধু এবং লেবুর রস এই উপাদান দুইটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে অনেক কার্যকারী। তাই ১ চা চামচ মুধের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর তৈরি করা মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট আপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ১ দিন করে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা জেল ও টি-ট্রি অয়েল
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ চা চামচ টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর তৈরি করা মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুল। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে এবং ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের ময়শ্চারাইজার হিসেবে অপনি এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন তৈরি করতে সমস্যা হলে মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে (সাত দিন) ব্যবহার করতে পারেন।
ডিম, শসা ও পুদিনা পাতা
প্রথমে কয়েক টুকরো শসা এবং কয়েকটি পুদিনা পাতা নিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করে নিন। এরপর তাতে ১টি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দুয়েই দূর হয়ে যাবে।
পাকা কলা, মধু ও পাতিলেবুর রস
প্রথমে ১টি পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিন। এরপর এর সাথে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। তৈরি করা ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াস
আমরা সবাই কম বেশি ফেসওয়াস ব্যবহার করে থাকি নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য। কারণ এটি খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং কাজও করে অনেক ভালো। যে কারনে আমাদের ত্বকে যে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা আগে খোজ নেয় কোন ফেসওয়াসে তার সমাধান হবে। যারা আমার মত তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াসের খোজ করছেন তাদের জন্য সেরা ৫টি ফেসওয়াসের নাম নিচে উল্লেখ করছি আশা করছি উপকৃত হবেন।
- সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ
- পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লো
- ডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং ফোমিং ওয়াশ
- ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো কিউয়ি ক্রাশ জেল ফেসওয়াশ
- পন্ড’স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ
নোট: ফেসওয়াস মূলত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়। যে কারণে আপনার ত্বকে কোন কেমিক্যাল টা সুট করবে তা বলা সম্ভব নয়। তার জন্য পরামর্শ দিব ডার্মাটোলজিস্ট ডাক্তারের সেবা বা পরামর্শ গ্রহন করার জন্য। নিজে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করেন। সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ