থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না

থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না

প্রতিটি মানুষের শরীরের গলার অংশে থাইরয়েড নামক একটি গ্রন্থি রয়েছে, যখন সেই গ্রন্থটি তার নিজ মাত্রায় থাকে তখন সেটিকে কোন রোগ বলা হয় না, কিন্তু যখন এটি তার নির্দিষ্ট আকৃতির থেকে বড় হয়ে যায় তখন তাকে থাইরয়েড রোগ বলা হয়। এই সময় শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, সাথে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে।

থাইরয়েড গ্রন্থির মূল কাজ হল আয়োডিনের ব্যবহার করে শরীরে যতটুকু থাইরয়েডের দরকার হয় ঠিক ততটুকুই তৈরি করা, এবং তা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু যখনই থাইরয়েড গ্রন্থি দরকারের থেকে বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরি করা শুরু করে, তখনই শুরু হয় থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যা এবং শরীলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ।

রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাকে মেডিকেল ভাষায় হাইপারথাইরয়েডিজম বা থাইরোটক্সিকোসিস বলে এবং রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আপনি যদি হাইপারথাইরয়েডিজমের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কিছু খাবার মেনে চলতে হবে। তাহলে চলুন দেখা নেওয়া যাক থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না বা কোন কোন খাবার গুলো এড়িয়ে চলবেন।

থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না

  • বাঁধাকপি, ব্রকলি ও ফুলকপি খাওয়া যাবে না।
  • রান্না করা গাজর, চিনি, মধু, সাদা পোস্ত, ময়দার রুটি কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তাই এই সব খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, তাই আপনার খাবারের তালিকা থেকে মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিন।
  • সয়াবিন বা সয়াবিন জাতীয় সব ধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত, কারণ সয়াবিনজাতীয় খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ করতে পারে না।
  • প্রসেস করা বা প্যাকটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন কারণ এসব খাবারে চিনি, লবণ ও তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যা আপনার শরীরের ওজন দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
  • থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কফি, চা ও সফট ড্রিঙ্ক যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কারণ আতি রিক্ত ক্যাফেইন থাইরয়েডের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে একদম খেতে পারবেন না তা নয় প্রতিদিন সকালে শুধু একবার খেতে পারেন।
  • ফাইবার জাতীয় খাবার সাধারণত আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো, এমনকি এসব খাবার আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু আপনি জানেন কি? থাইরয়েড হলে আতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
  • দুগ্ধজাত খাবার শরীরের হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে মাখন, পনির, দুধ ও চিজের মতো খাবার গুলো কম খাওয়ায় ভালো (তবে টক দই খাওয়া যাবে কিনা, তা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন)।
  • গমের আটা, কাজু, সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাক সবজি, পোলট্রির ডিম এগুলি মেনে চললেই আপনি থাইরয়েডের মোকাবিলা করতে পারবেন।
থাইরয়েড হরমোনগুলোর মধ্যে থাইরক্সিন (T4)-এর পরিমাণ ও অর্ধায়ু T3 -এর চেয়ে বেশি। মানব রক্তে থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা T4 ও T3 এর অনুপাত ১৪:১ থেকে ২০:১ পর্যান্ত।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url