পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ ও ছোট দ্বীপ

বৃহত্তম দ্বীপ

পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি?

পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ হল গ্রীনল্যান্ড। এই দ্বীপটি আর্কটিক ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি বৃহত্তম দ্বীপ। এটি ডেনমার্কের একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

এটির পশ্চিম দিকে ডেভিস প্রণালী ও ব্যাফিন উপসাগর দ্বারা প্রাথমিকভাবে কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং পূর্ব দিকে ডেনমার্ক প্রণালী দ্বারা আইসল্যান্ড থেকে পৃথক হয়েছে। গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ।

পৃথিবীর সব থেকে ছোট দ্বীপ কোনটি?

পৃথিবীর সব থেকে ছোট দ্বীপ হল “নাউরু দ্বীপ”। এই দ্বীপটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।

এই দ্বীপটি পৃথিবীর এক মাত্র দেশ যার কোনো রাজধানী নেই এবং এই দ্বীপের ক্ষেত্রফল ২১ বর্গ কিলোমিটার বা ৮.১ মাইল।২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, এই দেশের জনসংখ্যা হলো ১০,০৮৪ জন। যার ঘনত্ব হলো ৪৮০ কিলোমিটার বা ১,২৪৩.২ বর্গ মাইল। মোট অর্থ $১৩২ মিলিয়ন যা মাথাপিছু $৯,৯৯৫ এবং এই দ্বীপের মুদ্রা অস্ট্রেলীয় ডলার। এই দ্বীপে গাড়ি চলাচল দিক হলো বামে। এই রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হলো nauruan english। এই দ্বীপের বৃহত্তম নগরী হলো Denigomodu এবং দ্বীপটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম হবার পাশাপাশি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র দেশ। এই দ্বীপ রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রতি হলো রাস কুন।

এই রাষ্ট্র দ্বীপের আদি বসবাসকারী মানুষ হল মাইক্রোনেশিয়া ও পলিনেশিয়া জাতির। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে জার্মান এটি দখল করে নেয়। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে এটি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের একটি প্রশাসনিক এলাকায় পরিণত হয়, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলা কালীন এই দ্বীপটি জাপান দখল করে নেয় এবং যুদ্ধ শেষ হলে প্রশাসনিক এলাকায় পরিণত হয়। এই দ্বীপটি ৩১ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি?

বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ হল ভোলা দ্বীপ।

বাংলাদেশে ছোট বড় অনেক গুলো দ্বীপ আছে তবে এই সব দ্বীপের মধ্য একটি মাত্র জেলা দ্বীপ রয়েছে তা হলো বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের “ভোলা”জেলাটি। এই দ্বীপটির পূর্বে নাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর। এই দ্বীপটি বাংলাদেশের সব থেকে বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের আয়তন ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার (১৩১৪.০৯ বর্গ মাইল)। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভোলা জেলা দ্বীপে জনসংখ্যা ১৭,৭৬,৭৯৫ জন, যার জনঘানত্ব ৫২০ জন বর্গ কিলোমিটার বা ১,৪০০ জন বর্গ মাইল। এই জেলায় শিক্ষার হার ৪৩.২% লোক। এই জেলার প্রশাসনিক বিভাগীয় কোড ১০০৯।

ভোলা জেলার নাম করণের একটা সুন্দর কাহিনী আছে যা স্থানীয়রা বলে থাকে। ভোলা জেলার শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে বেতুয়া খাল। এই খালটি আগে অনেক প্রশস্ত ছিল তখন একে বলা হত নদী। এই নদী পার হবার জন্য ব্যবহার করা হতো নৌকা আর এই নৌকার মাঝি ছিল ভোলা পাটনি নামে এক জন বৃদ্ধ মানুষ। তার আস্তানা ছিল আজকের যুগীর ঘোরের কাছে। পরে এই মাঝির নাম অনুসারে এই দ্বীপের নাম করণ করা হয় ভোলা।

এই দ্বীপটি ছাড়াও উল্লেখ বেশ কিছু দ্বীপ আছে বাংলাদেশে। যেমন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সন্দ্বীপ দ্বীপ, মহেশখালী দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ, মনপুরা দ্বীপ ইত্যাদি।
Advertisement

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top