আজকের আবহাওয়া ও পূর্বাভাসের খবর
আবহাওয়া হল বায়ুমণ্ডলের অবস্থা। সাধারণত এক দিনের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলা হল। উদাহরণস্বরূপ এটি শুকনো বা ভেজা, শীতল বা তাপমাত্রা, ঝড়ো বা শান্ত, মেঘলা বা পরিষ্কার এমন ডিগ্রি বর্ণনা করে।
আজকের খবর:
২২.০৯.২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ০৬ টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ০৬ টা পর্যন্ত:
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস: ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গাসহ ঢাকা, রংপুর ও সিলেট বিভাগরে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী আকারের বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোনও কোনও স্থানে মাঝারী আকারের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহ: ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, নারায়নগঞ্জ, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসহ রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
তাপমাত্রা: সারদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের দিক ও গতি: পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম কোন থেকে ঘণ্টায় ০৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পাড়ে।
আজ সন্ধ্যা ০৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল: ৬২%
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হবে: সন্ধ্যা ০৫ টা ৪৮ মিনিট।
ঢাকায় আগামী কাল সূর্যোদয় হবে: ভোর ০৫ টা ৫৪ মিনিট।
আগামী কালের খবর:
২৩.০৯.২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ০৬ টা থেকে তার পরের দিন সন্ধ্যা ০৬ টা পর্যন্ত
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস: ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গাসহ রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী আকারের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোনও কোনও স্থানে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রার: সারাদেশে রাত-দিনের তাপমাত্রা ০১ থেকে ০৩ ডিগ্রী হ্রাস পেতে পারে।
আগামী কাল ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে: সন্ধ্যা ০৫ টা ৪৮ মিনিট।
পরশু ঢাকায় সূর্যোদয় হবে: ভোর ০৫ টা ৫৪ মিনিট।
আগামী পরশুর খবর:
২৪.০৯.২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ০৬ টা থেকে তার পরের দিন সন্ধ্যা ০৬ টা পর্যন্ত
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস: ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গাসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী আকারের বৃষ্টি আথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোনও কোনও স্থানে মাঝারী আকারের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রা: সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য পরিমানে হ্রাস পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ (৫) দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বৃষ্টিপাত অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কি?
আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ হল বায়ুপ্রবাহ।
বায়ুমণ্ডলীয় বা বায়ুপ্রবাহ সঞ্চালন বলতে মূলত বিরাট ক্ষেত্র জুড়ে বায়ুর স্থান পরিবর্তন করাকে বোঝায়। পৃথিবীপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে উত্তাপের বিতরণ ঘটে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপর নির্ভর করে সূর্যের তাপ পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পড়ে থাকে। যে কারণে যখন কোনো স্থান সরাসরি উত্তপ্ত হয়ে যায়, তখন উত্তপ্ত বায়ু তুলনামূলক শীতল স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়। বায়ু অধিক উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানের দিকে প্রবাহিত হয় এটা হলো বায়ুর ধর্মই, আর এই কারণের জন্যই পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহের ঘটনা ঘটে।
এই বায়ুপ্রবাহ যখন সঠিক মাত্রায় প্রবাহিত হয়, তখন এই বায়ুপ্রবাহ দখিনা বাতাসের মতো সুখকর অনুভূতি বয়ে আনে। আবার এই বায়ুপ্রবাহ যখন মাত্রাতিরিক্ত হতে শুরু করে, ঠিক তখনি তা জলভাগে জলোচ্ছ্বাস এবং স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে। মূলত বায়ু উচ্চচাপীয় অঞ্চল থেকে নিম্নচাপীয় অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।
আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে কিছু কথা
আবহাওয়া ও পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে। এসব পরিবর্তন গুলো আমাদের জন্য কোনো প্রকার সুখব নিয়ে আসছে না। আসলে এসব পরিবর্তন গুলো হচ্ছে নেতিবাচক বা নেগেটিভ পরিবর্তন। বিশ্ব আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মোট ৮টি দেশের উপকূলীয় এলাকায় বিরূপ পরিবেশ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস ইতোমধ্যেই করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের আবহাওয়া ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব্যব্যাপী বায়ুমন্ডলের এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে এসব এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ "পরিবেশগত উদ্বাস্তুুতে" পরিণত হবে। তারা এর সাথে এটাও বলেছেন যে উন্নত পরিবেশ, দূষণরোধ প্রযুক্তির দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও লাঘব করা যেতে পারে। সে জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশকে সুন্দর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে হলে দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। সেখানে আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ সরকারি হিসাব মতে শতকরা ৯ ভাগ। তবে প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৬ ভাগ। দেশে বনভূমির এই অস্বাভাবিক হ্রাসের কারণে দেশে জলবায়ু ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে।
সুন্দরবন আমাদের দেশের যেন মরুভূমির মধ্যে শ্যামল এক টুকরো মরুদ্যান। দেশের অন্যতম প্রধান এই বনভূমি এখন প্রায় ধ্বংস ও বিপর্যয়ের মুখে। মানুষের হস্তক্ষেপ ও লোভের ফলে সুন্দরবন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে এবং দেশ হারাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। নানা কারণে সুন্দরবনসহ দেশের অনেক অঞ্চলের বনভূমি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন রয়েছে।
পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হলো মানুষ। যেখানে মানুষের উচিত নিজেদের কলুষমুক্ত পরিচ্ছন্ন পবিত্র রাখার জন্য যথাসম্ভব পরিবেশকে রক্ষা করা। সেখানে মানুষই কারসাজি করে বনভূমি গুলো উজাড় করে দিচ্ছে। যেখানে সেখানে কলকারখানা ও ইটের ভাঁটি গড়ে উঠছে এবং তার বর্জ্য গুলো ফেলা হচ্ছে নদী-নালায়। ফলে নদী-ন্লা গুলো ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে শহর গড়ে তেলা হচ্ছে যার ফলে প্রকৃতির সবুজ শ্যামলি থেকে বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে উপচে পড়া জনসংখ্যার কারণেও দেশে গড় ভূমি বণ্টনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে নদী।