কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

সাধারণত ঋতুস্রাবের ১১ থেকে ১৪ তম দিনের মধ্যকার সময়ে গর্ভবতী হওয়ার আদর্শ সময় বলে মনে করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে কোনো সময় গর্ভবতী হতে পারে (মানে, নারীদেহের ২৮ দিনের পর্যায়ক্রমিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বা ঋতুচক্রের যে কোনো দিন গর্ভবতী হতে পাড়ে)।

কত দিন মাসিক না হলে বুঝবেন গর্ভবতী হয়েছেন

মূলত যারা সন্তান নিতে চাচ্ছেন তারা সঠিক নিয়ম মেনে সহবাস করলে বা তাদের দুই জনেরই যদি কোনো প্রবলেম না থাকে তাহলে মাসিক মিস হলেই বুঝতে হবে গর্ভবতী হয়েছেন।

আরো সহজ করে বলতে গেলে, যাদের মাসিক নিয়মিত হয় কোনো প্রবলেম হয় না, তাদের যে দিন মাসিক হওয়ার তারিখ ছিল তার থেকে ৭ দিনের মধ্যে যদি মাসিক না হয় তাহলে তাকে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে। কারণ মহান আল্লাহ তাল্লাহ যদি আপনার উপর খুশি হন তাহলে আপনার কোল আলো করে সন্তান আসতে পারে।

আবার অনেকের অনিয়মিত মাসিক হয়ে থেকে। দেখা যায় দুই-তিন মাস পর পর মাসিক হচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে মাসিক মিচ হলেও বোঝার উপায় থাকে না।

যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট:

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যায় না। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ১ মাস সাধারণত মায়েরা বুঝতেই পারে না যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। তার পরে কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হলো-
  • ক্লান্তি লাগা।
  • মাথা ঘুরানো।
  • প্রখর ঘ্রাণশক্তি।
  • প্রস্রাবের ঘন ঘন বেগ আসা।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
  • খাবারে অদ্ভুত স্বাদ অনুভব করা।
  • স্তনে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হওয়া।
  • পেট ফাঁপা বা পেটে অস্বস্তি অনুভব করা।
  • মাসিকের রাস্তা দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া।
  • সাদা স্রাবের পরিমাণ আগের থেকে বেড়ে যাওয়া।
  • মাসিকের ব্যথার মতো তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা করা।
  • প্রিয় খাবারের প্রতি অরুচি বা নতুন খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
নোট: অনেকেই একটা কমন ভুল করে থাকেন, মাসিক না হলেই গর্ভবতী হয়েছেন ধরে নেন। অবশ্যই এটি একটি ইতিবাচক ধারনা, তবে এর একটি খারাপ দিকও আছে। কারণ মাসিক না হলেই সব সময় গর্ভবতী হয় না, শরীরের অন্য কোনো প্রবলেম থাকলেও হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে জন্য আপনাকে আগে কনফার্ম হতে হবে যে আপনি গর্ভবতী। অনেক সময় কিট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করালেও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। কারণ কিট দিয়ে টেস্ট করলেও আনান্য ক্ষেত্রেও পজেটিভ আসতে পারে। যেমন ধরুন কারো যদি তল পেটে টিউমার হল তারও কিন্তু মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এবং কিট দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে পজিটিভ আসবে। সে জন্য আপনাকে আলট্রা করে নিচিত হতে হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url