চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বীজ সংগ্রহ

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বীজ সংগ্রহ

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ইংরেজি নাম হল ক্রিসেনথিমাম (Chrysanthemum) কখনো কখনো chrysanths বা mums ও বলা হয়ে থাকে। Chrysanthemum indicum L. হলো চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম। এই ফুলটি আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি ফুল এবং এর অনেক প্রজাতি রয়েছে। চন্দ্রমল্লিকা ফুলের প্রজাতি গুলোর বেশিরভাগ পূর্ব এশিয়া থেকে এসেছে এবং এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্থল হল চীনে। চন্দ্রমল্লিকা ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয় এবং ফুলগুলো বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্যের প্রথম সারিতে রয়েছে। নভেম্বর মাসে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের কুঁড়ি আসে এবং ডিসেম্বর মাসে ফুল ফোটে যে কারনে একে ক্রিসেন্থিমাম ফুলও বলা হয়৷ গাছে ফুলগুলো ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যান্ত তাজা থাকে৷

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বীজ যেভাবে সংগ্রহ করবেন

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বীজ সংগ্রহ করার উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি মাস। মূলত চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছের ফুল দেওয়া যখন শেষ হয়ে যাবে এবং গাছে ফুল গুলো শুকিয়ে যাবে। যে ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন সেই ফুল গুলোকে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই ফুল থেকে বীজগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর বীজ গুলো রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। ভালো করে শুকিয়ে নেওয়ার পর বীজ গুলো ঠান্ডা করে একটা এয়ার টাইট বক্সে সংগ্রহ করতে হবে।

চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন জাত রয়েছে তবে বাংলাদেশে তিনটি প্রজাতি বিশেষভাবে পরিচিত তা হল- তোরা চন্দ্রমল্লিকা, তিন রঙা চন্দ্রমল্লিকা, মালীর চন্দ্রমল্লিকা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসব চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা হয়, সেগুলোকে প্রধানত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়৷

  1. ছোট প্রজাতি - মেঘামী (জলদি জাত) – হালকা বেগুনী, বাসন্তী (জলদি জাত) – উজ্জ্বল হলুদ, উনা (নাবিজাত) – হালকা গোলাপী
  2. বড় প্রজাতি - রোজডে, স্নোবল, চন্দমা, সোনার বাংলা, পুইসা পকেট

পুরনো চন্দ্রমল্লিকা গাছ কিভাবে সংরক্ষণ করে রাখবেন:

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যখন ফুল দেওয়া শেষ হয়ে যাবে তখন দেখবেন গাছের ডাল গুলো শুকিয়ে গেছে এবং গাছের গোরার দিকে ছোট ছোট নতুন ডাল হয়েছে। নতুন ডাল গুলি রেখে দিবেন এবং পুরানো শুকিয়ে যাওয়া ডাল গুলো কেটে ফেলবেন। তারপর নতুন ডাল গুলো মাটি সহ তুলে নতুন টবে মাটি তৈরি করে বসাতে পারেন। আবার চাইলে আগের টবেই রেখে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একবার করে এমপিকে সার প্রয়োগ করতে হবে।

কোনো ঝামেলা ছাড়া এভাবে প্রতি বছর পুরানো গাছ থেকে নতুন গাছ সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url