খনিজ পদার্থ কাকে বলে? উদাহরন এবং দেশের কোথায় পাওয়া যায়।
খনিজ পদার্থ কাকে বলে?
কতগুলো মৌলিক উপাদান যখন প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে "যৌগিক" পদার্থে সৃষ্টি হয় তখন তাকে খনিজ পদার্থ বলে (ইংরেজিতে: Mineral)। খনিজ দুই বা তারও বেশি মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়, তবে কিছু কিছু খনিজ পদার্থ মাত্র একটি মৌল দিয়েও গঠিত হয়। সাধারনত, এই পদার্থগুলো অজৈব পদার্থ এবং কেলাসরূপে বিদ্যমান থাকে।
খনিজ পদার্থ উদাহরণ?
প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, তেজস্ক্রিয় বালি, ইউরেনিয়াম, চীনামাটি, চুনাপাথর, সিলিকা বালি, কঠিন শিলা, গন্ধক ইত্যাদি।
খনিজ পদার্থ বাংলাদেশের কোথায় কোথায় পাওয়া যায়:
বাংলাদেশে কম বেশি বেশ কিছু খনিজ সম্পদ আছে যা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। চলুন যেনে নেওয়া যাক কোন জেলায় কি খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক গ্যাস:
বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো গ্যাস। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৫৫ সালে গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করে এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু করে। বাংলাদেশে মোট ২৪ টি গ্যাসক্ষেত্র আছে এর মধ্যে ১৭ টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। গ্যাস ক্ষেত্র গুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। যেমন:
গ্যাসক্ষেত্র: হরিপুর
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৫৫ সাল
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৫৫ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: ছাতক
জেলা নাম: সুনামগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৫৯ সাল
জেলা নাম: সুনামগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৫৯ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: রশিদপুর
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৬০ সাল
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৬০ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: কৈলাশটিলা
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৬২ সাল
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৬২ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: তিতাস
জেলা নাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আবিষ্কার:১৯৬২ সাল
জেলা নাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আবিষ্কার:১৯৬২ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: হবিগঞ্জ
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৬৩
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৬৩
গ্যাসক্ষেত্র: তেমুটাং
জেলা নাম: খাগড়াছড়ি
আবিষ্কার: ১৯৬৯ সাল
জেলা নাম: খাগড়াছড়ি
আবিষ্কার: ১৯৬৯ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: বাখরাবাদ
জেলা নাম: কুমিল্লা
আবিষ্কার: ১৯৬৯ সাল
জেলা নাম: কুমিল্লা
আবিষ্কার: ১৯৬৯ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: কুতুবদিয়া
জেলা নাম: কক্সবাজার
আবিষ্কার: ১৯৭৭ সাল
জেলা নাম: কক্সবাজার
আবিষ্কার: ১৯৭৭ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: বেগমগঞ্জ
জেলা নাম: নোয়াখালী
আবিষ্কার: ১৯৭৭ সাল
জেলা নাম: নোয়াখালী
আবিষ্কার: ১৯৭৭ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: বিরানীবাজার
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: ফেনী
জেলা নাম: ফেনী
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
জেলা নাম: ফেনী
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: কামতা
জেলা নাম: গাজীপুর
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
জেলা নাম: গাজীপুর
আবিষ্কার: ১৯৮১ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: জলালবাদ
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮৯ সাল
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮৯ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: ফেঞ্চুগঞ্জ
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮৯ সাল
জেলা নাম: সিলেট
আবিষ্কার: ১৯৮৯ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: মেঘনা
জেলা নাম: নরসিংদী
আবিষ্কার: ১৯৯০ সাল
জেলা নাম: নরসিংদী
আবিষ্কার: ১৯৯০ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: নরসিংদী
জেলা নাম: নরসিংদী
আবিষ্কার: ১৯৯০ সাল
জেলা নাম: নরসিংদী
আবিষ্কার: ১৯৯০ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: শাহবাজপুর
জেলা নাম: ভোলা
আবিষ্কার: ১৯৯৫ সাল
জেলা নাম: ভোলা
আবিষ্কার: ১৯৯৫ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: সাঙ্গু
জেলা নাম: চট্টগ্রাম
আবিষ্কার: ১৯৯৬ সাল
জেলা নাম: চট্টগ্রাম
আবিষ্কার: ১৯৯৬ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: সালদা
জেলা নাম: ব্রাহ্মণবা়িয়া
আবিষ্কার: ১৯৯৬ সাল
জেলা নাম: ব্রাহ্মণবা়িয়া
আবিষ্কার: ১৯৯৬ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: মৌলভীবাজার
জেলা নাম: মৌলভীবাজার
আবিষ্কার: ১৯৯৭ সাল
জেলা নাম: মৌলভীবাজার
আবিষ্কার: ১৯৯৭ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: বিরিয়ানা
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৯৮ সাল
জেলা নাম: হবিগঞ্জ
আবিষ্কার: ১৯৯৮ সাল
গ্যাসক্ষেত্র: লালমাই
জেলা নাম: কুমিল্লা
আবিষ্কার: ২০০৫ সাল
জেলা নাম: কুমিল্লা
আবিষ্কার: ২০০৫ সাল
কয়লা:
খনিজ সম্পদের দিক থেকে কয়লার অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের দেশের যে সব জেলায় কয়লার ক্ষনি রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক।
জেলা নাম: দিনাজপুর।
অবস্থিত: দীঘিপাড়া, বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়িয়া, মধ্যপাড়া।
অবস্থিত: দীঘিপাড়া, বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়িয়া, মধ্যপাড়া।
জেলার নাম: জয়পুরহাট।
অবস্থিত: জামালগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ।
অবস্থিত: জামালগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ।
জেলার নাম: নওগাঁ।
অবস্থিত: পত্নীতলা ।
অবস্থিত: পত্নীতলা ।
জেলার নাম: সিলেট।
অবস্থিত: লালঘাট, টেকেরঘাট।
অবস্থিত: লালঘাট, টেকেরঘাট।
জেলার নাম: ফরিদপুর।
অবস্থিত: চান্দা বিল, রাখিয়া বিল।
অবস্থিত: চান্দা বিল, রাখিয়া বিল।
জেলার নাম: খুলনা।
অবস্থিত: কোলাবিল।
অবস্থিত: কোলাবিল।
তেজষ্ক্রিয় বালি:
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় সমুদ্র সৈকতে (ইলমেনাইট) শুধু মাত্র তেজষ্ক্রিয় বালি পাওয়া যায়।
ইউরেনিয়াম:
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পাহাড়ে ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়।
চীনামাটি:
চীনামাটি পাওয়া যায় যে সকল জেলায় তা হল।
জেলার নাম: নেত্রকোনা।
অবস্থিত: বিজয়পুর।
অবস্থিত: বিজয়পুর।
জেলার নাম: নওগাঁ।
অবস্থিত: পত্নীতলা ।
অবস্থিত: পত্নীতলা ।
জেলার নাম: চট্টগ্রাম।
অবস্থিত: পটিয়া।
অবস্থিত: পটিয়া।
চুনাপাথর:
বাংলাদেশের যে সব জেলায় চুনাপাথর পাওয়া যায় তা হল।
জেলার নাম: সিলেট।
অবস্থিত: টেকেরঘাট, ভঙ্গারহাট, জাফলং, লালঘাট, বাগবাজার।
অবস্থিত: টেকেরঘাট, ভঙ্গারহাট, জাফলং, লালঘাট, বাগবাজার।
জেলার নাম: জয়পুরহাট।
অবস্থিত: জয়পুরহাট।
অবস্থিত: জয়পুরহাট।
জেলার নাম: কক্সবাজার।
অবস্থিত: সেন্টমার্টিন।
অবস্থিত: সেন্টমার্টিন।
সিলিকা বালি:
যে সকল স্থানে সিলিকা বালি পাওয়া যায় তা হল।
জেলার নাম: হবিগঞ্জ।
অবস্থিত: শাহজীবাজার।
অবস্থিত: শাহজীবাজার।
জেলার নাম: জামালপুর।
অবস্থিত: বালিজুড়ি।
অবস্থিত: বালিজুড়ি।
জেলার নাম: কুমিল্লা।
অবস্থিত: চৌদ্দগ্রাম।
অবস্থিত: চৌদ্দগ্রাম।
কঠিন শিলা:
কঠিন শিলা পাওয়া যায় বাংলাদেশের যে সব জেলায় তা হল।
জেলার নাম: রংপুর।
অবস্থিত: বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর।
অবস্থিত: বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর।
জেলার নাম: দিনাজপুর।
অবস্থিত: পার্বতীপুর।
অবস্থিত: পার্বতীপুর।
গন্ধক:
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া শুধু মাত্র গন্ধক পাওয়া যায়।