প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথ

প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি যিনি মাত্র ৮ বছর বয়সে কাব্যরচনা শুরু করেন, তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২টি। তবে বাঙালি সমাজে তার প্রধানত জনপ্রিয়তা সংগীতস্রষ্টা হিসেবে, তিনি প্রায় ২,০০০ গান লিখেছিলেন। গান ও কবিতা ছাড়াও তিনি ৯৫টি ছোটগল্প, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি গদ্যগ্রন্থ ও প্রবন্ধ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা। এছাড়া তার সামগ্রিক চিঠিপত্র ১৯ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত।

রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনার প্রকৃতি নিয়ে তার ভাবনা গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছেন। তিনি প্রকৃতির সৌন্দর্য, তার শান্তি, গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখ প্রদর্শন করেছেন। তার লেখার মধ্যে তিনি প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক উক্তি ও ক্যাপশন বলে গেছেন যেগুলো এখনো মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথের কিছু ক্যাপশন নিয়ে নিচে আলোচনা করব।

প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথ

  • প্রকৃতি আমার আস্থার উদ্বোধন।
  • আমার স্বপ্নে অমর প্রকৃতির মুক্ত বিচরণ করার দর্শন দেওয়া হল।
  • আমার নয়ন জল নাহি প্রকৃতির পাতে যত করে বারলে ধূসর হয় হে, রজনীকান্ত তোর আঁধার গানে হৈরে বায়ু।
  • রসের আবেশ রাশি এসে শুকিয়ে দাও, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শঙ্খ, মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
  • প্রকৃতির রহস্য বুঝে প্রকৃত পুরুষ গায় গান, তাহার হাস্যে জড়িয়ে রইলে কুঁড়ে বজায় ময়লা প্রকৃতির রহস্য বুঝে কান্না হাসিয়া রইল ময়লা।
  • মুক্ত করি দিনু দ্বার–আকাশের যত ঝড় বৃষ্টি আয় মোর বুকে, শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও হৃদয়ের মুখে। বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক মঙ্গলনির্ঘোষ, জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল কঠিন সন্তোষ।
  • আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
  • বীণাযন্ত্র হানো হানো খরতর ঝংকার ঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চ সুর। হৃদয় নির্দয় ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতো ঊর্ধ্বে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
  • হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে–ব্যাপ্ত করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে ঘনঘোরস্তূপে। কোথা হতে আচম্বিতে মুহূর্তেকে দিক্‌ দিগন্তর করি অন্তরাল স্নিগ্ধ কৃষ্ণ ভয়ংকর তোমার সঘন অন্ধকারে রহো ক্ষণকাল।
  • ধূসর পাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি– বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url